সাদেকুল ইসলাম সুবেল দিনাজপুর প্রতিনিধি।। ১৯৭১ সালের ডিসেম্বর মাসে বাঙালী সংঘবদ্ধ মুক্তিবাহিনীর প্রতিরোধের মুখে পাক সেনারা পিছু হাঁটতে থাকে। এই দিনে উপজেলার ভান্ডারা, ধর্মপুর, রাণীপুকুর ইউপি কিংবা বগুলাখাড়ী থেকে পাকসেনারা পিছু হেঁটে দিনাজপুর শহরের দিকে আসতে থাকে।
সন্ধ্যার আগ মুহুর্তে কাঞ্চন জংশন এবং রেল ব্রীজ সংলগ্ন বিজোড়া ইউপি’র বহলা গ্রামের দক্ষিণ প্রান্তে পথিমধ্যে নিরীহ গ্রামবাসীর নিকট মুক্তিবাহিনীর সংবাদ জানতে চায় পাক হানাদার বাহিনী। কারণ এ গ্রামের সন্নিকটে সারাঙ্গাই-পলাশবাড়ীতে মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্প ছিল, যা আশপাশেই হবে মর্মে অনুমান করেছিল তারা। কিন্তু কোন গ্রামবাসী মুখ খুলেনি। ফলে প্রথমে তাদের গ্রাম ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়।
পরবর্তিতে আবার একত্র হয়ে পুরুষদের সারিবদ্ধ ভাবে দাড়াতে বলে পাকসেনারা। কিছুক্ষণের মধ্যে মাগরিবের নামাজ হবে জানিয়ে গ্রামবাসী নামাজ আদায় করতে চাইলে নামাজের অনুমতি পায়। নামাজ শেষ হওয়ার মুহুর্তে আবারো সারিবদ্ধ হতে বলেই নির্মম ফায়ারিং শুরু হয়। নিমেষেই ৩২ (মতান্তরে ৩৬-৪৩) টি তাজা প্রাণ হারিয়ে যায়। দু’জন বাদে এদের সবাইকে একত্রে গণকবর দেয়া হয়।
১৩, ডিসেম্বর (বুধবার) সকালে দিনাজপুরের বিরলে বহলা বধ্য ভূমি শহীদদের স্বরণে স্বরণ সভায় বিজোড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখেন বাংলাদেশ সরকারের নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী ও দিনাজপুর-২ (বিরল-বোচাঁগঞ্জ) আসনের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কার মনোনীত প্রার্থী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী
স্বাগত বক্তব্য রাখেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার রহমান আলী।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র আলহাজ্ব সবুজার সিদ্দিক সাগর, সাধারণ সম্পাদক রমাকান্ত রায়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য মোশারফ হোসেন, এ্যাড. রবিউল ইসলাম রবি (পি.পি), সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল আজাদ মনি প্রমূখ।
এবিডি.কম/সিয়াম আলম